১৯৭১ এ যে যুদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশে পাকিস্তানের সাথে, সেই সময় কিছু মানুষ ছিল সুবিধাবাদী, আমাদেরই বাঙালি ভাই ওরা । যাদের চরিত্র হচ্ছে সুবিধাবাদী । নিজের স্বার্থের জন্য ওরা সব কিছু করতে পারতো । ওদের মন বিবেক বলে কিছুই ছিল না । ওরা শুধু দেখতো নিজে কি ভাবে মুনাফা করবে , দুর্যোগ মুহূর্তে । সেটা হোক কাউকে মেরে, কারো রক্তের উপর । তাদের মুনাফার জন্য কত রক্ত বয়ে গেছে দেশে, তা তারা বুঝতে চাইতো না, দেখতেও চাইতো না । ওরা নিজের জাত ভাইয়ের রক্তের উপর বেঁচে থাকতে, তাদের বুক একটুও কাঁপতো না, মন একটুও কাঁদতো না, খারাপ লাগাতো দূরের কথা । যারা যুদ্ধের সময় নিজের জাতি হয়ে অন্য জাতিকে সাহায্য করে, তাদের বলে যুদ্ধ বিরোধী, ওরা সবসময় একটি যুদ্ধের জন্য ভয়ঙ্কর ভূমিকা পালন করে নিজের জাতির জন্য । ওদের এই যুদ্ধ বিরোধী কর্মে যে কোনো জাতি, যেকোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে অতি সহজেই। ওদের বাংলা ভাষায় বলা হয় রাজাকার, তাহলে রাজাকার মানে হচ্ছে যুদ্ধ বিদ্রোহী । আর যুদ্ধ বিরোধীর একটাই শাস্তি মৃত্যুদন্ড ।
এই সব রাজাকার এখনো বাংলাদেশে আছে অনেক, আবার জন্ম হয়েছে ওদের । এখন কোনো যুদ্ধ নেই, তাই নতুন রাজাকারদের দেখা যাচ্ছে না । কেননা আমরা মনে করি একমাত্র যুদ্ধের সময় রাজাকারের আবির্ভাব ঘটে । আমরা অনেকেই মনে করি, যুদ্ধ নেই তাই রাজাকারও নেই, কথাটা আসলে সঠিক নয় । এখনো বাংলাদেশে নতুন নতুন রাজাকার তৈরি হচ্ছে । ওরা এখনো দেশ বিরোধী কর্মে লিপ্ত, ওরা রাজাকার । যারা দেশের ক্রান্তিকালে ভুভুক্ত ব্যাক্তিদের অন্য বিতরণ না করে বেআইনী ভাবে খাদ্য গুলি নিজের গুদামে মওজুদ করছে, তারাকি দেশদ্রোহী নয় ? একবার তাদের মনোভাব ও কর্ম গুলি চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন, দেখবেন ওরা রাজাকার থেকে কোনো অংশে কম নয় । আবার যুদ্ধ লাগলে এরাই আবার রাজাকারের ভূমিকা পালন করবে ।
তাহলে এখন আপনারাই বলুন যে সব ব্যাক্তি ক্ষুধার্ত ব্যাক্তিকে খাদ্য বিতরণ না করে, সরকারের তরফ থেকে পাওয়ার খাবার গুলি অন্যায় ভাবে নিজের ঘরেরই খাবারগুলি রেখে দিচ্ছে , তাদের কি শাস্তি দেওয়া যেতে পারে ?? রাজাকার চিনুন, ওই সব অন্যায়কারীর দেশের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না কোনোদিন ! ওদের দেশ থেকে উৎখাত করাই উত্তম । রাজাকার চিনে রাখুন এখনই !